বাংলার সময় রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঠেকাবে কে
২৭-০২-২০২০, ২১:১৮
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে এক ছাত্রনেতা ও তার সহযোগীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাদের কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় আওয়ামী লীগও। বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈমের বিরুদ্ধে। আর তার অপকর্ম সম্পাদনের সহযোগী রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাসিক দত্ত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রোজেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মাহাবুব রতন-সহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল নাঈমকে।
গাছের গুঁড়ি চুরি থেকে শুরু করে মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর, হোস্টেলে সিট বাণিজ্য, ক্যাম্পাস ক্যান্টিনে ক্ষমতাবলে বিনা পয়সায় খাওয়া, ব্ল্যাকমেইল করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়াসহ সকল অপকর্মে পটু নাঈম ও তার সহযোগীরা। দলের ভেতরে-বাইরে যাকে তাকে ধরে পেটানো ও চাঁদাবাজি করাই তাদের কাজ। রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ হোস্টেলের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে তাদের টর্চার সেল। যখন যাকে ইচ্ছে ধরে এনে পেটানো হয় সেখানে। তার বাহিনীর নির্যাতন থেকে রেহাই পান নি সাংবাদিকরাও।
এছাড়া প্রেমিকার জন্য বিভিন্নসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাদের প্রশ্রয়ে কাউকে তোয়াক্কা করে না তাদের প্রেমিকারাও। ধূমপানমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করলেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে ধূমপান করে এসব নেতা। ফলে এসব নেতাদের কারণে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি। যা সরকারি দলের নানা অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। তাদের ব্যাপারে দলের উচ্চমহলের সিদ্ধান্ত জরুরি বলে মনে করছেন খোদ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, এসব নেতাদের পরিচয় ছাত্র হলেও বই-কলমের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। নাঈম, রাসিক, রতন, রোজেল তাদের অনুসারীদের মধ্যে আরও অনেকেই আছে, যারা কেউই নিজেরা পরীক্ষায় বসে না। কখনো জোরপূর্বক, কখনো বা ব্ল্যাকমেইল করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের হয়ে পরীক্ষায় বসতে বাধ্য করে।
সম্প্রতি রাজশাহী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাঈমের ক্যাডার রতন মাহাবুব মানিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর সাবরীনা শাহনাজ চৌধুরী।