বাংলার সময় টাকা না পেয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা
১৪-০২-২০২০, ১৬:২৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাবার কাছে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে বাবা আমির হোসেনকে(৫৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে আরাফাত হোসেন (২২)। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমির হোসেন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য ছিলেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে ঘাতক আরাফাত পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, নিহত আমির হোসেনের ছেলে আরাফাত হোসেন নবীনগর উপজেলা সদরের স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতেন। সে তার বাবা আমির হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে কয়েক দফা টাকা নিয়ে ব্যবসায় লোকসান করেন। গত কয়েকদিন ধরে আবারো ব্যবসার কথা বলে তার বাবার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এতে বাবা আমির হোসেন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমির হোসেন নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নবীনগর সদরে আসার পথে নবীনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তারই ছেলে আরাফাত হোসেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা আমির হোসেনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পথের মধ্যে মারা যান তিনি। পরে তার লাশ নবীনগর পশ্চিমপাড়া বাস ভবনে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছেলে আরাফাত পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত আমির হোসেন একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। ঘনার পর ঘাতক আরাফাতকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত আমির হোসেন একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য। ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। ঘনার পর ঘাতক আরাফাতকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।