সিটি নির্বাচন ‘ফল যাই হোক, জনগণের মেয়র হতে পেরেছি’
০১-০২-২০২০, ১৯:৫৪
মহানগর সময় ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ফলাফল যাই ঘোষণা করা হোক, জনগণের মনে জায়গা করে নিতে পেরিছে। জনগণের মেয়র হতে পেরেছি বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ভোট শেষ হওয়ার আগে জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ভোট শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় বিকেলের দিকে গোপীবাগের বাসায় বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, লড়াইয়ের নতুন যাত্রা শুরু হলো। এ সময় দেশের জনগণের মেয়র হয়ে গিয়েছেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ভোটারদের ভয় পান, ভোট কে ভয় পায়। তাদের দলের সিনিয়র নেতা আব্দুর রহমান বলেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল কর নিয়ন্ত্রণ করো, সেটার চিত্র তো আমরা দেখতে পেয়েছি।
ইশরাক বলেন, আমরা তো বলেছি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। এজন্য আমাদের কর্মীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দিইনি। আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে, কিন্তু সেটা তো হয়নি। পরবর্তী করণীয় কী হবে, এটা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হবে।
আসলে বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ বলে কিছু হয়নি বলে জানান ইশরাক হোসেন।
ইশরাক অভিযোগ করেন, ৬০ শতাংশ কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে বোতাম টিপে তারা নিজেরাই ভোট দিয়ে দেন। পরিবেশ অশান্ত চাইনি বলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দিইনি।
তিনি বলেন, এজেন্টদের রক্তাক্ত করে বের করে দেয়া হয়েছে। অভিনব চুরির নতুন পদ্ধতি সারা দেশেই ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।
আমাদের লড়াই শুরু হলো মাত্র।
আমাদের লড়াই শুরু হলো মাত্র।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমি শুরুতেই বলে এসেছি, বাংলাদেশের মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। অনেক শিক্ষিত মানুষের এই পদ্ধতিতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়ে যায়। সেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর লোকজন কীভাবে এই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন। আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার পর পাশে থাকা বুথে যেকেউ চাপ দিয়ে দিতে পারছেন। নির্বাচনের শুরু থেকে আমি বলে আসছি এই কাজটি হবে।
ভোট শেষে আগে জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে পরিদর্শনের পর ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এই ভোটকেন্দ্রে একটা কাকপক্ষীও নেই। একজন ভোটারও দেখছি না। মূল ফটক এবং ভেতরে ফটকে আমরা এসে তালা মারা দেখেছি। আমরা প্রবেশ করার পর তড়িঘড়ি করে তালা খুলে খুলে দেয়া হয়েছে।
‘জনমানবশূন্য ভোটাকেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, অথচ তারা বলছেন এখানে ভোট হচ্ছে। যতগুলো কেন্দ্রে ঘুরেছি, সব কটিতে একই চিত্র দেখেছি। আমাদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। তারা নিজেরা নিজেরা ভোট সম্পন্ন করেছেন বলে জানান ইশরাক।