বাণিজ্য সময় চট্টগ্রামে কমেছে সব ধরণের মসলার দাম
১৬-০৮-২০১৮, ০৮:৩১
বাণিজ্য সময় ডেস্ক
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়তে থাকায় ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে এসে কমে গেছে সব ধরণের মসলার দাম। সে সঙ্গে রপ্তানিকারক দেশগুলোতে বাম্পার ফলনের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমে যাওয়ায় আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। এ অবস্থায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদা, রসুন, পেঁয়াজের পাশাপাশি এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, জিরাসহ দামি মসলার দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে শুরু করে একশ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
আমদানি নির্ভর অনেকটা দেশের মসলার বাজার। উৎপাদন ঘাটতির কারণে আদা, রসুন , পেঁয়াজও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার দরের ওপর দেশের মসলার বাজার ওঠানামা করে। কোরবানির ঈদে মসলার ব্যবহার সবচে বেশি বাড়ে এ সুযোগে মসলার দাম বাড়ানো হয়। তবে সরবরাহের ঘাটতি দেখিয়ে গত সপ্তাহে আদা এবং রসুনের দাম বাড়লেও চলতি সপ্তাহে আমদানি বাড়ায় আদা ও রসুনের দাম কমছে।
মেসার্স মোহাম্মদীয় বাণিজ্যালয় মালিক হাজী মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, 'গত সপ্তাহে আদা ছিল ৯২-৯৫। এ সপ্তাহে ৭৮-৮০ টাকা।'
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো খাতুনগঞ্জে আসতে শুরু করায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দামে ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
মেসার্স সততা বাণিজ্যালয় পরিচালক রতন কুমার রায় বলেন, হঠাৎ করে আমদানি বেশি হওয়ায় একটু দাম কমেছে।'
মেসার্স অছি উদ্দিন সওদাগর পরিচালক মো. রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, 'বর্ডার থেকেই পেঁয়াজের আমদানি আসা কম ছিল, এখন আবার দাম কমেছে।'
এবার রপ্তানিকারক দেশে মসলার ভালো ফলন হওয়ায় বুকিং রেট কমে গেছে। তার প্রভাব পড়েছে দেশের মসলার বাজারেও।
মেসার্স অনুকূল ট্রেডার্স মালিক সজীব কুমার সিনহা বলেন, 'ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি থাকার কারণে ১১০ টাকা ডিউটি কম দিতে হচ্ছে।'
দেশে বছরে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন দারুচিনি, সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন এলাচ, ৪শ মেট্রিক টন লবঙ্গ এবং ৩ হাজার মেট্রিক টন জিরার চাহিদা রয়েছে।