ফুটবল বিশ্বকাপ বিশ্বজয় করে দেশে ফিরলো ফ্রান্স, বীরের বেশে ক্রোয়েশিয়া
১৭-০৭-২০১৮, ০১:০১
সময় সংবাদ
বিশ্ব জয় করে দেশে ফিরেছে ফ্রান্স ফুটবল দল। প্যারিসের বিখ্যাত চ্যাম্পস এলিসিস এভিনিউয়ে গ্রিজম্যান-এমবাপ্পেদের বরণ করে নিতে সমবেত হন অগণিত মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত ফরাসিরা। এদিকে, সোনালী ট্রফি জেতা না হলেও, রাশিয়া থেকে বীরের বেশেই দেশে ফিরেছে ক্রোয়েশিয়া দলও।
দুই ফ্রেমে দুই দেশের ফুটবল তারকারা। ফিরেছেন বীরের বেশে। একদল জয় করেছে বিশ্ব, আরেক দল মন। লুঝনিকির ময়দান রাঙিয়ে নীল আর লাল-সাদা পতাকা প্যারিস আর জাগরেবের বাতাসে ওড়ে। ওতে মিশে থাকে গৌরব।
সোনালী ট্রফির গল্পটা ফরাসিদের ডায়েরিতে লেখা সোনালী অক্ষরে। চ্যাম্পস এলিসিসের ময়দান এদিন যেন আরো জাঁকজমকপূর্ণ। এই জায়গাটা রাঙিয়ে দেবেন লেস ব্লুদের বীরেরা। ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত স্বচক্ষে দেখার লোভ সামলাতে পারেন না সমর্থকরা। তাই যে যেভাবে পেরেছেন, দেশমের দলকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে গেছেন।
এক ফরাসি সমর্থক বলেন, 'আমি এখনো বুঝে উঠতে পারছিনা। বিশ্বাস হচ্ছেনা, আমরাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! সারাজীবন ভবিষ্যত প্রজন্মকে শোনাতে পারবো এই গল্প।'
আরেকজন বলেন, 'এখানে থাকাটা আবশ্যক। এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ফরাসিদের ঐক্যবদ্ধ করেছে এই ট্রফিটা।'
এক বৃদ্ধ বলেন, '১৯৯৮ সালেও এমন অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। আমি খুবই ভাগ্যবান। প্লাতিনি, জিদান আর এরপর এমবাপ্পে- এই তিন প্রজন্মকে দেখতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।'
ফরাসিদের ঘোর কাটেনা। নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস হয়না। ফুটবল বিশ্বকাপটাই তো এমন। দুই যুগ পর শিরোপার স্বাদ পাওয়া ফুটবল অনুরাগীদের জন্য বিশেষ কিছুই।
দেশে ফিরে ক্রোয়াটরাও পেয়েছে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। খুব কাছে গিয়েও সোনালী ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি সোনালী প্রজন্মের। কিন্তু, রাশিয়ায় মদ্রিচ-র্যাকিটিচরা তো রূপকথাই লিখেছেন। সবাইকে চমকে দিয়েই ফাইনালের মঞ্চে পা রাখে ক্রোয়েশিয়া। তাই লুঝনিকিতে ফাইনালে হারলেও, জ্লাতকো দালিচের দলের বীরত্বগাঁথা সবার মুখে মুখে। ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের রাস্তায় জনসমুদ্রে হারিয়ে যান ক্রোয়াট ফুটবলাররা।