বাণিজ্য সময় শেষ হলো জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮
২৫-০৬-২০১৮, ১২:০৯
বাণিজ্য সময় ডেস্ক

জমজমাট ক্রেতা সমাগমে রাজধানীতে শেষ হলো জাতীয় ফল প্রদর্শনী-২০১৮। প্রদর্শনীতে প্রচলিত ও দুষ্প্রাপ্য বিভিন্ন ফলের পরিচিতি তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা। পাশাপাশি মৌসুমী ফলও কেনাবেচা করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তিনদিনে বিক্রি হয়েছে নানা প্রজাতির প্রায় ৮০ মেট্রিক টন ফল।
রাজধানীর খামারবাড়িতে শুক্রবার শুরু হওয়া জাতীয় ফল প্রদর্শনীর শেষ দিন শনিবার অন্যান্য দিনের চেয়ে ক্রেতা সমাগম ছিল উপচে পড়া। এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল কাঁঠাল কর্নার। গেইট থেকে শুরু করে বিশাল একটি অংশ জুড়ে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকারের কাঁঠাল দিয়ে। আর প্রবেশ মুখেই পাকা কাঁঠাল ও আমের ঘ্রাণে মুগ্ধ হওয়ায় ভিন্ন আমেজ দেখা গেছে দর্শনার্থীদের মাঝে।
প্রচলিত ৫৪টিসহ অপ্রচলিত ৩৬ ও বিদেশী ৯টি ফলের জাত প্রদর্শনী করা হয় এ আয়োজন। আর বিএডিসি স্টলে দেখা গেছে কফি গাছসহ গোলপাতা ফল, দেশে চাষ করা মালয়েশিয়ার সাদা রংয়ের ডাব। কৃষিবিদরা বলছেন, বিদেশী নয়, গুরুত্ব দিতে হবে দেশীয় ফল উৎপাদনে।
মৌসুম হওয়ায় এবারের প্রদর্শনীতে ড্রাগন, জাম, লটকনসহ সবচেয়ে বেশি সরবরাহ ছিল রংপুর, রাজশাহী ও সাতক্ষিরার ১০২টি প্রজাতির আম। মান ভাল হওয়ায় বিক্রিও বেশ হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। দাম কিছুটা বেশি হলেও কেমিক্যাল মুক্ত ফল কিনতে পেরে স্বস্তির কথা জানান অনেকে। তবে কর্তৃপক্ষের প্রতি অভিযোগও ছিল কারো কারো কন্ঠে।
প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব বলেন, বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের সমন্বিত কাজের ফলেই দেশে ফল উৎপাদন বাড়ছে।
এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিল ৯টি সরকারিসহ ৮১টি প্রতিষ্ঠান। তিন দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ফল।